নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছেনা কাঁচা মরিচের দাম। ক্রমশ কাঁচা মরিচের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।কোনো ভাবেই কাঁচা মরিচের দামে আগুন নেভানো যাচ্ছে না, এতে বাজারে মরিচ কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের।সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ভুইয়াগাঁতী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরায় ৩৪০/৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
১০ই অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে দেখা যায়,কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন,বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে আমরা কাঁচা মরিচ পাইকারি দামে ক্রয় করি।বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরবাহ কম। তাই মরিচ কেনার জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।এছাড়া দুর্গা পূজার কারণে, আগামী ৭ (সাত) দিন ভারতের এলসি মরিচ আমদানী বন্ধ থাকবে।
সুতরাং, স্বাভাবিকের তুলনায় দাম একটু বেশি থাকবে। প্রায় সকল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করেন।
তবে ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে ক্রেতা মো: আব্দুল কাইয়ুম বলেন, তৃতীয় পক্ষের সিন্ডিকেটের কারণেই মরিচের দাম বেড়েছে। বাজারে সঠিক ও যথাযত তদারকি প্রয়োজন।মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে, ক্রেতাদের মধ্য থেকে অনেকে অন্তবর্তীনকালীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুর রউফ বলেন, সরকার নয় বরং প্রাকৃতিক কারণে এবার চাহিদার তুলনায় মরিচ কম উৎপাদন হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে অনেক কৃষকের মরিচের জমি নষ্ট হয়ে গেছে।যার ফলে, ভারত থেকে আমদানি স্বত্ত্বেও স্থানীয় ভাবে সরবাহে ঘাটতি থাকায় দাম বেড়েছে।তবে এটি একটি সাময়িক সমস্যা।খুব দ্রুত এর সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।