ডেস্ক রিপোর্ট:
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঘটনায় বেশ আলোচিত ছিলেন। বিশেষ করে তার দপ্তরে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী এবং তাদের পরিবারবর্গের সঙ্গে খাবার খাওয়া ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর উচ্চ আদালত এটিকে ‘মশকরা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
গত বছর ৩০ই জুলাই বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দলীয় কর্মসূচি চলাকালে ধোলাইখাল থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়ার পর মি. রায়কে মধ্যাহৃভোজে আপ্যায়িত করার ছবি ও ভিডিও করে গণমাধ্যমে দেয়া হলে সেটি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়।
এরপর বিভিন্ন সময়ে অভিনয় জগত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের তার দপ্তরে দুপুরের খাবার খাওয়ান তিনি। পরে সেগুলোর ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যমে আসে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও হারুন ইস্যুতে কথা বলেন শরিকরা। সোমবার (২৯ জুলাই) গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের নেতারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে খাবার গ্রহণের ছবি ডিবির হারুনের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে রাশেদ খান মেনন ছাড়াও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ একাধিক নেতা কথা বলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
ডিবির হারুন অর রশীদের প্রসঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকে হওয়া আলোচনার ব্যাপারে হাসানুল হক ইনু সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, বৈঠকে আমি ও রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই কথা বলেছেন। মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়। এটা সমাধানের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। রাজনীতিবিদরা সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধান করবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়। এর বাইরে আমলা দিয়ে রাজনৈতিক বিষয় সমাধানের চেষ্টা করাটা সঠিক নয়। বৈঠকে আমরা সরকারকে বলেছি, আমলা দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টাটা বাদ দিতে। এটা খুবই লজ্জাজনক।
আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ডিবি থেকে সরিয়ে দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাকে ডিবি থেকে সরিয়ে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনসের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নতুন করে ডিবি গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান। তিনি এতদিন ডিএমপির লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।