আব্দুর রশিদ,ডোমার (নীলফামারী ) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উপজেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি এবং সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১লা আগস্ট) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল আলম বিপিএএ’র সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফার্মাসিস্ট সরকার ফারহানা আখতার সুমি, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনজুরুল হক চৌধুরী, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহসীন আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরননবী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মোঃ আল-আমিন রহমান প্রমুখ।
সভার প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত যে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করেছে, তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এমন কর্মকাণ্ড দেশদ্রোহিতা প্রকাশ করে। সন্ত্রাস ও নাশকতা রুখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে জাগ্রত হতে হবে। সবাই মিলে সতর্ক অবস্থানে ও তাদের গুজব প্রতিরোধে সচেতন থাকলে সন্ত্রাসীরা নাশকতা করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের রাষ্ট্রপরিচালনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাধারণ জনগণকে সন্ত্রাসী ও নাশকতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা প্রথা সংস্কারের। সরকার প্রথম থেকেই ছাত্রদের পক্ষে ছিল। যখন সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করে কোটা পুনর্বহালের পক্ষে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, তখন সরকার পক্ষ ছাত্রদের হয়ে আপিল করেছে এবং সেটাতে জয়ী হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৯৩ শতাংশ মেধায় এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটায় চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ছাত্রদের নাম করে সরকারবিরোধী মহল আওয়ামী লীগ সরকারের পতন করতে এক দফা দাবি নিয়ে তৎপর হতে শুরু করেছে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশদ্রোহীদের রুখতে হবে।
এমপি আফতাব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বরাত দিয়ে বলেন, ডোমার উপজেলায় ৯৬২ জন প্রাথমিক শিক্ষক রয়েছেন। যার মধ্যে মাত্র ২৫ জন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত। যা মোট শিক্ষকের মাত্র ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। অতএব, কোটা নিয়ে ছাত্রসমাজের মধ্যে যেসব অপপ্রচার ও প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
সভায় বক্তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নাশকতা, অরাজকতা প্রতিরোধ সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।