এম. শাহাবুদ্দিন,রাজশাহী :
রাজশাহীতে পদ্মানদীতে আকস্মিকভাবে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজার হাজর কৃষক। এছাড়া ওই এলাকার গোচারন ভূমি ডুবে যাওয়ায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে গরু ও মহিষের খামারিরা।
সরজমিনে পদ্মার চর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত তিন দিনে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের নওশারা সুলতানপুর, চাকলা বিনোদপুর, দিয়াড়শংকরপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর ও মোহরকয়া, লালপুর ইউনিয়নের চর সহ প্রায় ২০ টি চর এলাকার জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। যেসব জমিতে আখ আছে সেগুলোর কিছু জমিতে শুধু উপরের অংশ দেখা যাচ্ছে।বাকি অংশ পানির নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চরের গোচারন ভূমি গুলো ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার শত শত গরু ও মহিষের খামারিরা।
সুলতানপুর গ্রামের কৃষক আকতার আলী জানান , তার প্রায় সাড়ে ছয় বিঘা জমির ফসল একেবারে পানিতে তলিয়ে গেছে, এর মধ্যে আড়াই বিঘা মুলা ও চার বিঘা বেগুনের রয়েছে। এছাড়া আরো প্রায় চার বিঘা জমির আখ ডুবে গেছে।দিয়াড় শংকরপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার প্রায় সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির গাজর,মুলা ও বেগুন সম্পুর্ন ডুবে গেছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পদ্মার চর এলাকায় প্রায় ৪১০ হেক্টর আখ, ৪৫ হেক্টর শাকসবজি, ১০ হেক্টর কলা, ও ১০ হেক্টর মাসকালাই পানিতে তলিয়ে গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় জানান, নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার ফসল ডুবে গেছে, পানি কমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, আমদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছি সার্বিক খোজখবর রাখার জন্য, এবং কৃষি বিভাগ চর এলাকায় গেছে ফসলের ক্ষতির তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।