মেয়েরা বন্ধুর মতো মিশলেই ছেলেরা ভাবে মেয়েটি হয়তো তাকে পছন্দ করে। এটা ভেবে পরে যখন সে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তখন বন্ধু ভাবা মেয়েটি অবাক হয়ে যায়।বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েদের অতি সাধারণ বাক্য হলো- ‘ভাবছিলাম তুমি আমায় পছন্দ করো’। এই ট্রেন্ড এখন চলছে। ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে মেয়েদের মনের মধ্যে জিজ্ঞাসা একটাই- ‘ও এটাকে ফ্লার্টিং ভাবছে না তো’।যে কারণে ছেলেরা মেয়েদের বন্ধুত্বকে প্রেমের চোখে দেখে আসলে পুরুষদের এই চিন্তাভাবনার কিন্তু অন্য কারণও থাকতে পারে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি-এ প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট দেখায় যে, পুরুষের যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন অনেক সময় তাদের এমন চিন্তাভাবনার জন্ম দেয়। তাদের আচরণকে প্রভাবিত করে।আগে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা, পুরুষদের এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ট্রিগার করে। হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে, মনে মনে কোনো সম্পর্ককে নিজেদের মতো করে রোমান্টিকভাবে অনুমান করে নেয় পুরুষেরা। এমনটাই অনেক মনোবিজ্ঞানীই বিশ্বাস করেন।গবেষকরা ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি ১৯০ জন স্ট্রেট বা নারীতে আগ্রহী পুরুষদের নিয়ে এই গবেষণা করেছেন।গবেষণাপত্রের লেখক স্টেফান এমএম গোয়েটজ ব্যাখ্যা করেছেন যে- মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয়, তা নিশ্চিত করতেই পুরুষরা প্রায়ই নারীর বন্ধুত্বকে ভুল ভেবে বসেন।অনেক পুরুষরা নিজেদের আকর্ষণীয় বলে মনে করেন, তারা আবার আত্মবিশ্বাসের জোরেই, নারীর বন্ধুত্বকে রোমান্টিক ভেবে বসেন। আসলে টেস্টোস্টেরন বন্ধুত্বপূর্ণ অঙ্গভঙ্গির প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায় ঠিকই, কিন্তু শুধুমাত্র সেই পুরুষদের মধ্যে যাদের নিজেদের দেখতে ভালো বলে মনে করেন। অর্থাৎ যে পুরুষরা নিজেকে হ্যান্ডসাম ভাবে তার মধ্যে টেস্টোস্টেরনের প্রভাব শক্তিশালী হয়।গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র টেস্টোস্টেরনই নয়, বেশ কয়েকটি কারণে পুরুষের আচরণে প্রভাব পড়ে। পরিবেশ ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পুরুষ আচরণ বদলে দিতে পারে। পুরুষের পুরুষত্বের বিকাশ ঘটায়।