মো: একরামুল হক, রায়গঞ্জ:
জুলুমকারীদের কোনো ক্ষমা নেই,তাঁরা আল্লাহর আসামি। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে তিনি এইসব কথা বলেন।
শুক্রবার ( ১১ই অক্টোবর) বাদ জুমা উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারামপুর তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান আলোচক মুফতি আমির হামজা (কুষ্টিয়া) বলেন, আগামীর বাংলাদেশের সংবিধান হবে আল কুরআন। কুরআনের শাসন ছাড়া দেশে শান্তি-শৃংখলা, সংহতি, ও সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব না। বিগত ৫৩ বছর অনেক শাসকের শাসন আমল দেখেছি।আগামীর বাংলাদেশে কুরআনের শাসন দেখতে চাই।
উক্ত মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভি.পি আইনুল হক,প্রধান মেহমান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবি এম আব্দুস সাত্তার।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস, সাবেক পৌরসভা মেয়র মোশারফ হোসেন আকন্দ, রায়গঞ্জ উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ডা: কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,দেশটাকে আমরা নতুন করে স্বাধীন করেছি। বিগত সরকারের আমলে কুরআনের মাহফিলে বাধা, অন্যায় ভাবে আলমদের উপর জুলুম ও অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি।আগামীতে আর কেউ যেন কুরআনের মাহফিলে বাধা দিতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারী রাখতে হবে।
প্রধান মেহমান এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, আল কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সচেতনতা,সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাই আমাদের সকল কে একযোগে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস বলেন, কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে আর কোনো মায়ের কোল খালি হবেনা।পাখিরা নীড়ে ঘুমাবে।দেশে আর যেন কোন স্বৈর শাসক না আসতে পারে সেদিকে সাধারণ মানুষ ও ছাত্র সমাজের দৃষ্টি রাখতে হবে।এছাড়াও তিনি দেশের সার্বিক কল্যাণে ও উন্নায়নে সকল কে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।