মোঃ শামীম আহমেদ, আশুলিয়া (ঢাকা):
আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চিরকুট লিখে টাকা দাবি করা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মিটার খোলার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর রাতে ধামরাইয়ের আইঙ্গন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার ধামরাই পৌরসভার আইঙ্গন দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আফজাল হোসেন (২৮) এবং একই এলাকার পশ্চিমপাড়া হারিজুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত হায়দার আলীর ছেলে মো. জসিম (২২)। আফজাল পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান এবং জসিম পেশায় পিকআপ চালক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, গত এক মাস ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার কল-কারখানা ও কাঠের মিল কেন্দ্রিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে চিরকুটের মাধ্যমে টাকা দাবি করে আসছিলো একটি চক্র। ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে। মূলত আফজাল নামে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান মিটারগুলো চুরি করে। এসময় তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য মিটারের জায়গায় একটি চিরকুটে মোবাইল নাম্বার লিখে দিয়ে আসে জসিম। জসিম মূলত মিটারের মালিকদের সাথে ফোনে কথাবার্তা বলে বিকাশ নাম্বার দেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা-পয়সা উত্তোলন করে।
তিনি আরও বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই অলক কুমারকে দিয়ে একটি আভিজানিক দল গঠন করা হয়। পরে তার নেতৃত্বে চিরকুটে দেয়া বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাই পৌরসভার আইঙ্গন বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে ঘটনায় জড়িত জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।এসময় তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গ্রেপ্তার জসিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আফজালের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে মিটার খোলার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তারা চুরি করা মিটার ফেরত দেওয়ার কথা বলে চিরকুট লিখে টাকা দাবি করত। এ জন্য তারা একাধিক সিম কার্ড ব্যবহার করে টাকা আদায় করত। গ্রেপ্তার ওই দুজনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত চলমান রয়েছে।