মো: একরামুল হক, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা।সারাদেশে জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতি চালু রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহি:বিভাগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা চালু রয়েছে। বর্তমানে এই চিকিৎসা পদ্ধতির কদর অনেকটাই বেড়েছে। যেটিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন উপজেলা সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
হাসপাতালে দায়িত্বরত হারবাল এসিস্ট্যান্ট মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, সুযোগ-সুবিধা ও জনবল বৃদ্ধি করলে চিকিৎসার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো জানান, আমি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই হাসপাতালে কর্মরত আছি। শুরুতে রোগীর ভিড় কম থাকলেও তা এখন বেড়ে প্রায় চারগুনে দাঁড়িয়েছে।প্রতিদিন হাসপাতালে প্রচুর রোগীর ভিড় থাকে। তার মধ্যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাপত্রের রোগীর সংখ্যায় তুলনামূলক বেশি।
প্রতিদিন সকালে এই ওয়ার্ডের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ডাক্তার মো: বেলাল হোসেন রোগী দেখে সঠিক ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। আর ব্যবস্থাপত্র দেখে হারবাল এসিস্ট্যান্ট ওষুধ দেন। হাসপাতালের তথ্য বলছে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বছরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার রোগী দেখা হয় এবং বিনামুল্যে ওষুধ সরবাহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিমুল ইহসান তৌহিদের উদ্যোগে হাসপাতালে দুইটি প্রদর্শনী ভেষজ বাগান রয়েছে এবং তার কার্যকারিতা সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে। সেগুলো সাধারণ মানুষ পড়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছেন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মান ও জনপ্রিয়তা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার(এ.এম.সি) তে এই সেক্টরে একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার ও একজন হারবাল এসিস্ট্যান্ট কর্মরত আছেন। হাসপাতালের একটি সজ্জিত রুমে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।